চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামানের চাকরি জীবনটাই ভুয়া ও একই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক কুলছুম খাতুন জাল সনদ নিয়ে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান এর জন্মতারিখ ২৮/০৭/১৯৬৫, ইনডেক্স নং ২১৬৫২১. প্রধান শিক্ষক প্রথম চাকরিতে যোগদান করেন বাদে মাজু বাদল স্মৃতি একাডেমিতে ০১/০১/১৯৮৪ সালে এবং ১৯৮৪ সালে এইচ এস সি পাশ করেন।

এরপর বেলগাছি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার ২৮/০৭/১৯৯২ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ নেন।তারপর বেলগাছি বিদ্যালয়টি ০১/০৭/১৯৯৩ তারিখে এমপিওভুক্ত হন।

এরপর ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা চেয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ নিয়ে ২৭/০২/২০০৫ হতে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।গত ১৫/০১/২০১৫ সালে বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদের বিষয়ে প্রত্যয়ন দেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর ২৮/০৫/২০১৫ তারিখের পত্র মারফত জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৯/০৮/২০১১ তারিখ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে আছেন।বিগত ২২/১২/২০১৪ তারিখে মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের অডিটে নিয়োগ সংক্রান্ত ত্রুটি কাগজ পত্রাদি ধরা পড়ায় স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক নতুন খবর পত্রিকায় ২ দিন ধরে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের অডিটে মেলেনি বৈধ কাগজপত্র আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানের কর্ম জীবনটাই ছিলো ভুয়া শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভাপতি বরাবর আবেদন প্রেরন করেন।তারপরও বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি। এরপর চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা হয় ১৮/০৯/১৮ তারিখে, মামলাটি চলমান।

একই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক শিক্ষক কুলসুম খাতুন, ইনডেক্স নং N 1104505, এইচ এস সি জাল সনদ নিয়ে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন বিগত ২০১০ সাল হতে।অত্র বিদ্যালয় হতে গত ২৪/০১/২০১৯ তারিখে কুলছুম খাতুনের এইচএসসি সনদ যাচাইয়ের জন্য সোনালী ব্যাংকের টাকা জমা দিলে সনদ যাচাই হয়।সেখানে তথ্য আসে তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কুড়িগ্রাম জেলার একটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মতিয়ার রহমানের নামে অকৃতকার্য ছাত্রের রোল নং ১২১৯৯৪ ব্যবহার করে। যা রাজশাহী শিক্ষা ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ২০১৯ সালে verified and found not correct সীল ও স্বাক্ষর দ্বারা জাল প্রমানিত হয়।

এছাড়াও উক্ত রোল নম্বর অনলাইনে যাচাই করলে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।

এছাড়াও তিনি ভুয়া মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে তদন্তে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাকে আত্তীকরণের মাধ্যমে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ০১/০১/১৯৮৯ সালে যোগদান করি এবং অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কারনে আমি বরখাস্ত হয়েছিলাম।মামলার বিষয়ে বলেন একটি মামলার রায় আমি পেয়েছি এবং আরেকটি মামলা চলমান আছে।

গ্রন্থাগারিক শিক্ষক কুলসুম খাতুনের সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন,তার কোন কাগজপত্র আমার অফিসে নাই।সনদ জালের বিষয়ে আমি জানি কিন্তু কেউ অভিযোগ করে না বলে আমি কিছু করতে পারিনি।
জাল সনদের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুলছুম খাতুন বলেন,যে রোল নম্বর সম্বলিত ভুয়া সনদ সেটি আমার নই,তাহলে আপনার সঠিক সনদ কোথায় আছে বললে,তিনি কোন সনদ দেখাতে পারেন নাই।তিনি বার বার মাস্টার্স পরীক্ষার সনদ দেখাতে চেয়েছেন।

এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি আলমডাঙ্গা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে পাওয়া যায় নি এমনকি ফোনেও সাক্ষাতকার নেওয়া সম্ভব হয়নি এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার কে জানালে,তিনি বলেন ভুয়া শিক্ষকদের ব্যাপারে আমার জানা ছিলো না,এখন জানলাম আমি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবো।